কাহিনী

ভূমিতল হতে বালা লইলেন তুলে,

দেখিতে লাগিলা প্রভু ঘুরায়ে অঙ্গুলে।

হীরকের সূচীমুখ শতবার ঘুরি

হানিতে লাগিল শত আলোকের ছুরি।

 

ঈষৎ হাসিয়া গুরু পাশে দিলা রাখি,

আবার সে পুঁথি - ' পরে নিবেশিলা আঁখি।

সহসা একটি বালা শিলাতল হতে

গড়ায়ে পড়িয়া গেল যমুনার স্রোতে।

 

‘ আহা আহা' চীৎকার করি রঘুনাথ

ঝাঁপায়ে পড়িল জলে বাড়ায়ে দু হাত।

আগ্রহে সমস্ত তার প্রাণমনকায়

একখানি বাহু হয়ে ধরিবারে যায়।

 

বারেকের তরে গুরু না তুলিলা মুখ,

নিভৃত অন্তরে তাঁর জাগে পাঠসুখ।

কালো জল কটাক্ষিয়া চলে ঘুরি ঘুরি,

যেন সে ছলনাভরা সুগভীর চুরি।

 

দিবালোক চলে গেল দিবসের পিছু

যমুনা উতলা করি না মিলিল কিছু।

সিক্তবস্ত্রে রিক্তহাতে শ্রান্তনতশিরে

রঘুনাথ গুরু - কাছে আসিলেন ফিরে।

 

‘ এখনো উঠাতে পারি ' করজোড়ে যাচে,

‘ যদি দেখাইয়া দাও কোন্‌খানে আছে। '

দ্বিতীয় কঙ্কণখানি ছুঁড়ি দিয়া জলে

গুরু কহিলেন, ‘ আছে ওই নদীতলে। '