খেয়া

        শান্তি হারাইলি?

  নাচে রে তাই রক্ত নাচে

        সকল দেহ - মাঝে,

  বাজে রে তাই কী কথা তোর

         পাঁজর জুড়ে বাজে।

 

  আজিকে এই খণ্ড চাঁদের

        ক্ষীণ আলোকের ’পরে

  ব্যাকুল হয়ে অশান্ত প্রাণ

        আঘাত করে মরে।

  কী লুকিয়ে আছে ওরে,

        কী রেখেছে ঢেকে—

  কিসের কাঁপন কিসের আভাস

        পাই যে থেকে থেকে।

 

  ওরে, কোথাও নাই রে হাওয়া,

        স্তব্ধ বাঁশের শাখা—

  বালুতটের পাশে নদী

        কালির বর্ণে আঁকা।

  বনের ’পরে চেপে আছে

        কাহার অভিশাপ—

  ধরণীতল মূর্ছা গেছে

        লয়ে আপন তাপ।

 

  ওরে, হেথায় আনন্দ নেই—

        পুরানো তোর বাড়ি,

  ভাঙা দুয়ার বাদুড়কে ওই

        দিয়েছে পথ ছাড়ি।

  সন্ধ্যা হতে ঘুমিয়ে পড়ে

        যে যেথা পায় স্থান—

  জাগে না কেউ বীণা হাতে,

        গাহে না কেউ গান।