পলাতকা

                   ছেড়ে লজ্জাভয়

                   কন্যা তখন নিঃসংকোচে কয়

                       বাপের কাছে গিয়ে,—

          “ তুমি নাকি করতে যাবে বিয়ে।

আমরা তোমার ছেলেমেয়ে নাতনী-নাতি যত

          সবার মাথা করবে নত?

          মায়ের কথা ভুলবে তবে?

তোমার প্রাণ কি এত কঠিন হবে। ”

 

 

               বাবা বললে শুষ্ক হাসে,

          “ কঠিন আমি কেই বা জানে না সে?

আমার পক্ষে বিয়ে করা বিষম কঠোর কর্ম,

                   কিন্তু গৃহধর্ম

     স্ত্রী না হলে অপূর্ণ যে রয়

মনু হতে মহাভারত সকল শাস্ত্রে কয়।

          সহজ তো নয় ধর্মপথে হাঁটা,

এ তো কেবল হৃদয় নিয়ে নয়কো কাঁদাকাটা।

          যে করে ভয় দুঃখ নিতে, দুঃখ দিতে,

     সে কাপুরুষ কেনই আসে পৃথিবীতে। ”

 

 

     বাখরগঞ্জে মেয়ের বাপের ঘর।

                  সেথায় গেলেন বর

বিয়ের কদিন আগে, বৌকে নিয়ে শেষে

          যখন ফিরে এলেন দেশে

ঘরেতে নেই মঞ্জুলিকা। খবর পেলেন চিঠি পড়ে,

          পুলিন তাকে বিয়ে করে

     গেছে দোঁহা ফরাক্কাবাদ চলে,

     সেইখানেতে ই ঘর পাতবে ব ' লে।

          আগুন হয়ে বাপ

     বারে বারে দিলেন অভিশাপ।