কথা

     রাজদেবালয়ঘরে।

 

 

শারদনিশির স্বচ্ছ তিমিরে

     তারা অগণ্য জ্বলে।

সিংহদুয়ারে বাজিল বিষাণ,

বন্দীরা ধরে সন্ধ্যার তান,

‘ মন্ত্রণাসভা হল সমাধান '

     দ্বারী ফুকারিয়া বলে।

 

 

এমন সময়ে হেরিল চমকি

     প্রাসাদে প্রহরী যত —

রাজার বিজন কানন - মাঝারে

স্তূপপদমূলে গহন আঁধারে

জ্বলিতেছে কেন যেন সারে সারে

     প্রদীপমালার মতো!

 

মুক্তকৃপাণে পুররক্ষক

     তখনি ছুটিয়া আসি

শুধালো, ‘ কে তুই ওরে দুর্মতি,

মরিবার তরে করিস আরতি! '

মধুর কণ্ঠে শুনিল, ‘ শ্রীমতী,

     আমি বুদ্ধের দাসী।'

 

 

সেদিন শুভ্র পাষাণফলকে

     পড়িল রক্তলিখা।

সেদিন শারদ স্বচ্ছ নিশীথে

প্রাসাদকাননে নীরবে নিভৃতে

স্তূপপদমূলে নিবিল চকিতে

      শেষ আরতির শিখা!