কথা

সহসা বিস্মৃতি ছুটে,               সাধু ফুকারিয়া উঠে,

                   ‘ ঠিক বটে ঠিক।

একদিন নদীতটে                কুড়ায়ে পেয়েছি বটে

                    পরশমানিক।

যদি কভু লাগে দানে            সেই ভেবে ওইখানে

                   পুঁতেছি বালুতে —

নিয়ে যাও হে ঠাকুর,             দুঃখ তব হবে দূর

                   ছুঁতে নাহি ছুঁতে।'

বিপ্র তাড়াতাড়ি আসি           খুঁড়িয়া বালুকারাশি

                    পাইল সে মণি,

লোহার মাদুলি দুটি             সোনা হয়ে উঠে ফুটি,

                   ছুঁইল যেমনি।

ব্রাহ্মণ বালুর'পরে              বিস্ময়ে বসিয়া পড়ে —

                   ভাবে নিজে নিজে।

যমুনা কল্লোলগানে             চিন্তিতের কানে কানে

                   কহে কত কী যে!

নদীপারে রক্তছবি               দিনান্তের ক্লান্ত রবি

                   গেল অস্তাচলে —

তখন ব্রাহ্মণ উঠে               সাধুর চরণে লুটে

                   কহে অশ্রুজলে,

‘ যে ধনে হইয়া ধনী            মণিরে মান না মণি

                   তাহারি খানিক

মাগি আমি নতশিরে। '              এত বলি নদীনীরে

                   ফেলিল মানিক।