মহুয়া

     কিছু বলে, কিছু তবু বাকি থাকে ভাষা।

          নিঃশব্দে খুলিয়া দ্বার

          অঞ্চলে আড়াল করি সে যেন কাহার

            আনিয়াছে সৌভাগ্যের থালি —

              নাম কি পিয়ালী।

 

দিয়ালী

              জনতার মাঝে

দেখিতে পাই নে তারে, থাকে তুচ্ছ সাজে।

            ললাটে ঘোমটা টানি

          দিবসে লুকায়ে রাখে নয়নের বাণী।

            রজনীর অন্ধকার

          তুলে দেয় আবরণ তার।

    রাজরানীবেশে

অনায়াসগৌরবের সিংহাসনে বসে মৃদু হেসে।

              বক্ষে হার ঝলমলে,

              সীমন্তে অলকে জ্বলে

              মাণিক্যের সিঁথি।

            কী যেন বিস্মৃতি

সহসা ঘুচিয়া যায়, টুটে দীনতার ছদ্মসীমা,

            মনে পড়ে আপন মহিমা।

                 ভক্তেরে সে দেয় পুরস্কার

                      বরমাল্য তার

                 আপন সহস্র দীপ জ্বালি —

                 নাম কি দিয়ালী।

 

নাগরী

         ব্যঙ্গসুনিপুণা,

     শ্লেষবাণসন্ধানদারুণা!

          অনুগ্রহবর্ষণের মাঝে

বিদ্রূপবিদ্যুৎঘাত অকস্মাৎ মর্মে এসে বাজে।