মহুয়া

              জ্যোৎস্নার মতন

          গোপনেও নহে সে গোপন।

আঁধার-আলোরি কোলে রয়েছে জাগরি —

          নাম কি নাগরী।

 

সাগরী

বাহিরে সে দুরন্ত আবেগে

          উচ্ছলিয়া উঠে জেগে —

উচ্চহাস্যতরঙ্গ সে হানে

          সূর্যচন্দ্র-পানে।

 

পাঠায় অস্থির চোখ —

          আলোকের উত্তরে আলোক।

কভু অন্ধকারপুঞ্জে দেখা দেয় ঝঞ্ঝার ভ্রূকুটি,

          ক্ষণে ক্ষণে

           আন্দোলনে

প্রচণ্ড অধৈর্যবেগে তটের মর্যাদা ফেলে টুটি।

     গভীর অন্তর তার নিস্তব্ধ গম্ভীর,

          কোথা তল, কোথা তীর ;

অগাধ তপস্যা যেন রেখেছে সঞ্চিত করি —

          নাম কি সাগরী।

 

জয়তী

যেন তার চক্ষু-মাঝে

     উদ্যত বিরাজে

     মহেশের তপোবনে নন্দীর তর্জনী।

          ইন্দ্রের অশনি

            মৌনে তার ঢাকা ;

          প্রাণ তার অরুণের পাখা

     মেলিল দিনের বক্ষে তীব্র অতৃপ্তিতে

          দুঃসহ দীপ্তিতে।