মানসী
                 পথিকের প্রাণ বিবশে!
পথে     এখনো উঠিবে প্রখর তপন
                 দিবসে।
পথে     রাক্ষসী সেই তিমিররজনী
                 না জানি কোথায় নিবসে!

 

থামো,   শুধু এক বার ডাকি নাম তাঁর
                 নবীন জীবন ভরিয়া—
যাব       যাঁর বল পেয়ে সংসারপথ
                 তরিয়া,
যত      মানবের গুরু মহৎজনের
                 চরণচিহ্ন ধরিয়া।

 

যাও      তাহাদের কাছে ঘরে যারা আছে
                 পাষাণে পরান বাঁধিয়া,
গাও      তাদের জীবনে তাদের বেদনে
                 কাঁদিয়া।
তারা     প’ড়ে ভূমিতলে ভাসে আঁখিজলে
                 নিজ সাধে বাদ সাধিয়া।

 

হায়,     উঠিতে চাহিছে পরান, তবুও
                 পারে না তাহারা উঠিতে।
তারা     পারে না ললিতলতার বাঁধন
                 টুটিতে।
তারা     পথ জানিয়াছে, দিবানিশি তবু
                 পথপাশে রহে লুটিতে!

 

তারা     অলস বেদন করিবে যাপন
                 অলস রাগিণী গাহিয়া,
রবে      দূর আলো-পানে আবিষ্ট প্রাণে
                  চাহিয়া।
ওই       মধুর রোদনে ভেসে যাবে তারা