পরিশেষ

               খাতার কোণে রিপোর্ট করার খোরাক নিচ্ছে টুকে।

            ও মানুষটা সত্যি যদি তেমনি হেয় হয়,

                 ঘৃণা করব, কেন করব ভয়।

 

এই বছরে বছরখানেক বেড়িয়ে নিলেম পাঞ্জাবে কাশ্মীরে।

           এলেম যখন ফিরে ;

এল গণেশ পলটু এল, এল নবীন পাল,

                 এল মাখনলাল।

হাতে একটা মোড়ক নিয়ে প্রণাম করলে পাঁচু,

                 মুখটা কাঁচুমাচু।

      ‘ মনিব কোথায় ' শুধাই আমি তারে,

                  ‘ সতীশ কোথায় হাঁ রে। '

      নবীন বললে, ‘ খবর পান নি তবে

                 দিন-পনেরো হবে

      উপোস করে মারা গেল সোনার-টুকরো ছেলে

নন্‌-ভায়োলেন্‌স প্রচার করে গেল যখন আলিপুরের জেলে। '

   পাঁচু আমার হাতে দিল খাতা,

           খুলে দেখি পাতার পরে পাতা —

দেশের কথা কী বলেছি তাই লিখেছে গভীর অনুরাগে,

           পাঠিয়ে দিল জেলে যাবার আগে।

আজকে বসে বসে ভাবি, মুখের কথাগুলো

           ঝরা পাতার মতোই তারা ধুলোয় হত ধুলো।

           সেইগুলোকে সত্য করে বাঁচিয়ে রাখবে কি এ

                       মৃত্যুসুধার নিত্যপরশ দিয়ে।