৪৪

যৌবন রে, তুই কি রবি সুখের খাঁচাতে।

     তুই যে পারিস কাঁটাগাছের উচ্চ ডালের ’পরে

                    পুচ্ছ নাচাতে।

     তুই পথহীন সাগরপারের পান্থ,

     তোর ডানা যে অশান্ত অক্লান্ত,

          অজানা তোর বাসার সন্ধানে রে

              অবাধ যে তোর ধাওয়া ;

          ঝড়ের থেকে বজ্রকে নেয় কেড়ে

              তোর যে দাবি - দাওয়া।

 

যৌবন রে, তুই কি কাঙাল, আয়ুর ভিখারি।

     মরণ-বনের অন্ধকারে গহন কাঁটাপথে

                    তুই যে শিকারি।

     মৃত্যু যে তার পাত্রে বহন করে

     অমৃতরস নিত্য তোমার তরে ;

          বসে আছে মানিনী তোর প্রিয়া

              মরণ-ঘোমটা টানি।

          সেই আবরণ দেখ্‌ রে উতারিয়া

              মুগ্ধ সে মুখখানি।

 

যৌবন রে, রয়েছ কোন্‌ তানের সাধনে।

     তোমার বাণী শুষ্ক পাতায় রয় কি কভু বাঁধা

                     পুঁথির বাঁধনে।

     তোমার বাণী দখিন হাওয়ার বীণায়

     অরণ্যেরে আপনাকে তার চিনায়,

          তোমার বাণী জাগে প্রলয়মেঘে

              ঝড়ের ঝংকারে ;

           ঢেউয়ের ’পরে বাজিয়ে চলে বেগে

               বিজয়-ডঙ্কা রে।