পূরবী
                       জীবনে আমার।
               জানি জানি— ভাঙিয়া নূতন করে তোলা,
           ভুলায়ে পূর্বের পথ অপূর্বের পথে দ্বার খোলা,
                      বাঁধন গিয়েছে যবে চুকে
               তারি ছিন্ন রশিগুলি কুড়ায়ে কৌতুকে
               বার বার গাঁথা হল দোলা।
                       নিয়ে যত মুহূর্তের ভোলা
                              চিরস্মরণের ধন
                        গোপনে হয়েছে আয়োজন।

 

                   পদধ্বনি, কার পদধ্বনি
                            চিরদিন শুনেছি এমনি
                                    বারে বারে।
                            একি বাজে মৃত্যুসিন্ধুপারে।
                   একি মোর আপন বক্ষেতে।
              ডাকে মোরে ক্ষণে ক্ষণে কিসের সংকেতে।
                   তবে কি হবেই যেতে।
                            সব বন্ধ করিব ছেদন?
              ওগো কোন্‌ বন্ধু তুমি, কোন্‌ সঙ্গী দিতেছ বেদন
                           বিচ্ছেদের তীর হতে।
                      তরী কি ভাসাব স্রোতে
                                  হে বিরহী,
                      আমার অন্তরে দাও কহি
                            ডাকো মোরে কী খেলা খেলাতে
                                      আতঙ্কিত নিশীথবেলাতে?

 

                   বারে বারে দিয়েছ নিঃসঙ্গ করি—
         এ শূন্য প্রাণের পাত্র কোন্‌ সঙ্গসুধা দিয়ে ভরি
                        তুলে নেবে মিলন-উৎসবে।
                   সূর্যাস্তের পথ দিয়ে যবে
                সন্ধ্যাতারা উঠে আসে নক্ষত্রসভায়,
                        প্রহর না যেতে যেতে