২৯

ক্রমে ম্লান হয়ে আসে নয়নের জ্যোতি

নয়নতারায় ; বিপুলা এ বসুমতী

ধীরে মিলাইয়া আসে ছায়ার মতন

লয়ে তার সিন্ধু শৈল কান্তার কানন।

বিচিত্র এ বিশ্বগান ক্ষীণ হয়ে বাজে

ইন্দ্রিয়বীণার সূক্ষ্ম শততন্ত্রী-মাঝে ;

বর্ণে বর্ণে সুরঞ্জিত বিশ্বচিত্রখানি

ধীরে ধীরে মৃদু হস্তে লও তুমি টানি

সর্বাঙ্গ হৃদয় হতে ; দীপ্ত দীপাবলী

ইন্দ্রিয়ের দ্বারে দ্বারে ছিল যা উজ্জ্বলি

দাও নিবাইয়া ; তার পরে অর্ধরাতে

যে নির্মল মৃত্যুশয্যা পাতো নিজহাতে —

 

সে বিশ্বভুবনহীন নিঃশব্দ আসনে

একা তুমি বোসো আসি পরম নির্জনে।