আকাশপ্রদীপ

                   সেদিন সে ছিল একলা অতুলনীয়।

                           বালকের দৃষ্টিতে এই প্রথম প্রকাশ পেল —

           জগতে এমন কিছু যাকে দেখা যায় কিন্তু জানা যায় না।

                          বাঁশি থামল, বাণী থামল না —

                                 আমাদের বধূ রইল

                          বিস্ময়ের অদৃশ্য রশ্মি দিয়ে ঘেরা।

 

           তার ভাব, তার আড়ি, তার খেলাধুলো ননদের সঙ্গে।

               অনেক সংকোচে অল্প একটু কাছে যেতে চাই,

                       তার ডুরে শাড়িটি মনে ঘুরিয়ে দেয় আবর্ত ;

                কিন্তু, ভ্রূকুটিতে বুঝতে দেরি হয় না, আমি ছেলেমানুষ,

                   আমি মেয়ে নই, আমি অন্য জাতের।

               তার বয়স আমার চেয়ে দুই-এক মাসের

                       বড়োই হবে বা ছোটোই হবে।

                   তা হোক, কিন্তু এ কথা মানি,

                           আমরা ভিন্ন মসলায় তৈরি।

               মন একান্তই চাইত, ওকে কিছু একটা দিয়ে

                          সাঁকো বানিয়ে নিতে।

               একদিন এই হতভাগা কোথা থেকে পেল

                          কতকগুলো রঙিন পুঁথি ;

                   ভাবলে, চমক লাগিয়ে দেবে।

                          হেসে উঠল সে ; বলল,

                                “ এগুলো নিয়ে করব কী। ”

               ইতিহাসের উপেক্ষিত এই-সব ট্র্যাজেডি

                       কোথাও দরদ পায় না,

               লজ্জার ভারে বালকের সমস্ত দিনরাত্রির

                        দেয় মাথা হেঁট করে।

           কোন্‌ বিচারক বিচার করবে যে, মূল্য আছে

                                সেই পুঁথিগুলোর।

 

                   তবু এরই মধ্যে দেখা গেল, শস্তা খাজনা চলে

                       এমন দাবিও আছে ওই উচ্চাসনার —