ছড়া
শুনেছে তিসির খুব নামো দর,
তাই পাড়ি দিতে গেল দামোদর।
দামোদরে বুধুরাম খেয়া দেয়,
চেপে বসে ডেপুটির পেয়াদায়।
শংকর ভোরবেলা চুঁচড়োয়।
হাউ-হাউ শব্দে গা মুচড়োয়।
নাড়াজোলে বড়োবাবু তখুনি
শুরু করে বংশুকে বকুনি।
বংশুর যত হোক খাটো আয়,
তবু তার বিয়ে হবে কাটোয়ায়।
বাঁধা হুঁকো বাঁধা নিয়ে খড়দার
ধার দিলে মতিরাম সর্দার।
‘শাঁখা চাই’ বলতেই শাঁখারি
বলে, শাঁখ আছে তিন টাকারই।
দর-কষাকষি নিয়ে অবশেষ
পুলিস-থানায় হল সব শেষ।
সাসারামে চলে গেল লোক তার
খুঁজে যদি পাওয়া যায় মোক্তার।
সাক্ষীর খোঁজে গেল চেউকি,
গাঁজাখোর আছে সেথা কেউ কি।
সাথে নিয়ে ভুলুদা ও শশিদি
অনুকূল চলে গেছে জসিদি।
পথে যেতে বহু দুখ ভুগে রে
খোঁড়া ঘোড়া বেঁচে এল মুঙেরে।
মা ও দিকে বাতে তার পা খুঁড়ায়,
পড়ে আছে সাত দিন বাঁকুড়ায়।
ডাক্তার তিনকড়ি সাণ্ডেল
বদলি করেছে বাসা বাণ্ডেল।
তাই লোক পাঠায় কোদার্‌মায়
চিঠি লিখে দিল সে ভোঁদার মায়।
সাতক্ষীরা এল চুপিচুপি সে,
তার পরে গেল পাঁচথুপি সে।