বীথিকা

          সে দুটি হাতেরও কিছু কম নহে দাম!

 

সেই কথা ভালো, তুমি চলে এসো একা,

          বাতাসে তোমার আভাস যেন গো থাকে ;

স্তব্ধ প্রহরে দুজনে বিজনে দেখা,

           সন্ধ্যাতারাটি শিরীষডালের ফাঁকে।

তার পরে যদি ফিরে যাও ধীরে ধীরে

          ভুলে ফেলে যে য়ো তোমার যূথীর মালা ;

ইমন বাজিবে বক্ষের শিরে শিরে,

          তার পরে হবে কাব্য লেখার পালা।

যত লিখে যাই ততই ভাবনা আসে,

          লেফাফার 'পরে কার নাম দিতে হবে ;

মনে মনে ভাবি গভীর দীর্ঘশ্বাসে,

          কোন্‌ দূর যুগে তারিখ ইহার কবে।

 

মনে ছবি আসে— ঝিকিমিকি বেলা হল,

          বাগানের ঘাটে গা ধুয়েছ তাড়াতাড়ি ;

কচি মুখখানি, বয়স তখন ষোলো ;

          তনু দেহখানি ঘেরিয়াছে ডুরে শাড়ি।

কুঙ্কুমফোঁটা ভুরুসংগমে কিবা,

          শ্বেতকরবীর গুচ্ছ কর্ণমূলে ;

পিছন হইতে দেখিনু কোমল গ্রীবা

           লোভন হয়েছে রেশমচিকন চুলে।

তাম্রথালায় গোড়ে মালাখানি গেঁথে

          সিক্ত রুমালে যত্নে রেখেছ ঢাকি ;

ছায়া - হেলা ছাদে মাদুর দিয়েছ পেতে—

          কার কথা ভেবে বসে আছ জানি না কি!

আজি এই চিঠি লিখিছে তো সেই কবি ;

          গোধূলির ছায়া ঘনায় বিজন ঘরে,

দেয়ালে ঝুলিছে সেদিনের ছায়াছবি—

         শব্দটি নেই, ঘড়ি টিক্‌টিক্‌ করে।

ওই তো তোমার হিসাবের ছেঁড়া পাতা,