শেষ সপ্তক

                                অঙ্গুরি-মুদ্রার গুপ্ত সংকেত

                                       অঙ্কিত হয় অন্তরফলকে।

 

নিরালায়   জানলার কাছে বসেছি যখন

    নিষ্কর্মাপ্রহরগুলো নিঃশব্দ চরণে

      কিছু দান রেখে গেছে আমার দেহলিতে ;

    জীবনের গুপ্ত ধনের ভাণ্ডারে

      পুঞ্জিত হয়েছে বিস্মৃত মুহূর্তের সঞ্চয়।

 

     বহু বিচিত্রের কারুকলায় চিত্রিত

        এই আমার সমগ্র সত্তা

তার সমস্ত সঞ্চয় সমস্ত পরিচয় নিয়ে

     কোনো যুগে কি কোনো দিব্যদৃষ্টির সম্মুখে

        পরিপূর্ণ অবারিত হবে?

 

                     তার সকল তপস্যায় সে চেয়েছে

                               গোচরতাকে ;

        বলেছে, যেমন বলে গোধূলির অস্ফুট তারা,

        বলেছে, যেমন বলে নিশান্তের অরুণ আভাস —

                          ‘ এস প্রকাশ, এস। '

 

                 কবে প্রকাশ হবে পূর্ণ,

                        আপনি প্রত্যক্ষ হব আপনার আলোতে

                           বধূ যেমন সত্য ক ' রে জানে আপনাকে,

                                    সত্য ক ' রে জানায়,

                 যখন প্রাণে জাগে তার প্রেম,

                     যখন দুঃখকে পারে সে গলার হার করতে,

                         যখন দৈন্যকে দেয় সে মহিমা,

                     যখন মৃত্যুতে ঘটে না তার অসমাপ্তি।