শেষ সপ্তক

             বেহারা পালাবে কোথায় পায় না ভেবে।

     ছুটে বেরিয়ে এল মেয়ের মা

          অন্ধকারের মধ্যে উঠল তার কান্না—

  ‘ দোহাই বাবা, আমার মেয়ের জাত বাঁচাও। '

         রোঘো দাঁড়াল যমদূতের মতো—

পালকি থেকে টেনে বের করলে বরকে,

বরকর্তার গালে মারল একটা প্রচণ্ড চড়,

       পড়ল সে মাথা ঘুরে।

 

ঘরের প্রাঙ্গণে আবার শাঁখ উঠল বেজে,

             জাগল হুলুধ্বনি ;

     দলবল নিয়ে রোঘো দাঁড়াল সভায়,

             শিবের বিয়ের রাতে ভূতপ্রেতের দল যেন।

            উলঙ্গপ্রায় দেহ সবার, তেলমাখা সর্বাঙ্গে,

               মুখে ভুসোর কালি।

                         বিয়ে হল সারা।

                                তিন প্রহর রাতে

           যাবার সময় কনেকে বললে ডাকাত

                      ‘ তুমি আমার মা,

           দুঃখ যদি পাও কখনো স্মরণ কোরো রঘুকে। '

 

    তারপরে এসেছে যুগান্তর।

    বিদ্যুতের প্রখর আলোতে

          ছেলেরা আজ খবরের কাগজে

               পড়ে ডাকাতির খবর।

  রূপকথা - শোনা নিভৃত সন্ধ্যেবেলাগুলো

  সংসার থেকে গেল চলে,

            আমাদের স্মৃতি

   আর নিবে - যাওয়া তেলের প্রদীপের সঙ্গে সঙ্গে।