শেষ সপ্তক

                      দেখা যায় প্রবালের রক্তিম তটরেখা।

 

 

         পঁচিশে বৈশাখ তার পরে দেখা দিল

                আর - এক কালান্তরে,

                     ফাল্গুনের প্রত্যুষে

                          রঙিন আভার অস্পষ্টতায়।

                তরুণ যৌবনের বাউল

                          সুর বেঁধে নিল আপন একতারাতে,

                ডেকে বেড়াল

                          নিরুদ্দেশ মনের মানুষকে

                     অনির্দেশ্য বেদনার খ্যাপা সুরে।

 

 

    সেই শুনে কোনো - কোনোদিন বা

                বৈকুণ্ঠে লক্ষ্মীর আসন টলেছিল,

    তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন

        তাঁর কোনো কোনো দূতীকে

              পলাশবনের রঙমাতাল ছায়াপথে

                    কাজ - ভোলানো সকাল - বিকালে।

        তখন কানে কানে মৃদু গলায় তাদের কথা শুনেছি,

              কিছু বুঝেছি, কিছু বুঝি নি।

              দেখেছি কালো চোখের পক্ষ্মরেখায়

                    জলের আভাস ;

    দেখেছি কম্পিত অধরে নিমীলিত বাণীর

                                 বেদনা ;

              শুনেছি ক্বণিত কঙ্কণে

                 চঞ্চল আগ্রহের চকিত ঝংকার।

 

 

    তারা রেখে গেছে আমার অজানিতে

              পঁচিশে বৈশাখের