শেষ সপ্তক

                                বেঁধে দিয়েছে সুর,

                                পঁচিশে বৈশাখকে

                                  বরণমাল্য পরিয়েছে

                                    আপন হাতে গেঁথে।

                   তাদের পরশমণির ছোঁওয়া

                        আজও আছে

                              আমার গানে আমার বাণীতে।

 

 

         সেদিন জীবনের রণক্ষেত্রে

                     দিকে দিকে জেগে উঠল সংগ্রামের সংঘাত

                          গুরু গুরু মেঘমন্দ্রে।

         একতারা ফেলে দিয়ে

               কখনো বা নিতে হল ভেরী।

                 খর মধ্যাহ্নের তাপে

                    ছুটতে হল

                         জয়পরাজয়ের আবর্তনের মধ্যে।

 

 

               পায়ে বিঁধেছে কাঁটা,

                     ক্ষত বক্ষে পড়েছে রক্তধারা।

                নির্মম কঠোরতা মেরেছে ঢেউ

                    আমার নৌকার ডাইনে বাঁয়ে—

         জীবনের পণ্য চেয়েছে ডুবিয়ে দিতে

                       নিন্দার তলায়, পঙ্কের মধ্যে।

 

         বিদ্বেষে অনুরাগে

                         ঈর্ষায় মৈত্রীতে,

                 সংগীতে পরুষ কোলাহলে

                         আলোড়িত তপ্ত বাষ্পনিশ্বাসের মধ্য দিয়ে

                আমার জগৎ গিয়েছে তার কক্ষপথে।

            এই দুর্গমে, এই বিরোধ - সংক্ষোভের মধ্যে