আদর্শ প্রশ্ন

অজাতশত্রু প্রাণদণ্ডের ভয় দেখিয়ে বুদ্ধের পূজা বন্ধ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই প্রাণদণ্ডই পূজার ব্যাঘাত না হয়ে পূজাকে কোন্‌ চরম মূল্য দ্বারা মূল্যবান ক’রে তুলেছিল সেই কথাটি প্রকাশ ক’রে লেখো।

দিদি

এ একটি ছবি। বালিকাবয়সী দিদি। তার মনে মাতৃস্নেহ রয়েছে বিকশিত। সে বাহিরে কাজকর্ম করতে যাওয়া আসা করে, সঙ্গে নিয়ে বেড়ায় শিশু ভাইটিকে। ছেলেটা খেলা করে আপন মনে, দিদি কাছাকাছি কোথাও আছে এইটি জানলেই সে নিশ্চিন্ত। এই অত্যন্ত সরল কবিতাটি যদি তোমাদের ভালো লাগে তবে কেন লাগে লেখো।

স্পর্শমণি

ভিক্ষুক ব্রাহ্মণ যখন দেখলে সনাতন স্পর্শমণিকে নিস্পৃহমনে উপেক্ষা করলেন তখন বুঝতে পারলে যে, লোভেই এই পাথরটাকে মিথ্যে দাম দিয়ে মনকে আসক্ত করে রেখেছে। লোভকে সরিয়ে নিলেই এটা হয় ঢেলা মাত্র। লোভ কখন চলে যায়?

বিবাহ

রাজপুতানার ইতিহাস থেকে এই গল্পটি নেওয়া। বিবাহসভায় মেত্রির রাজকুমারকে যুদ্ধে আহ্বান, বিবাহ অসমাপ্ত রেখে বরের যাত্রা রণক্ষেত্রে। তার অনতিকাল পরে বিবাহের সাজে চর্তুদোলায় চ’ড়ে বধূর গমন মেত্রিরাজপুরে, সেখানে যুদ্ধে নিহতকুমার তখন চিতাশয্যায়। সেইখানেই মৃত্যুর মিলনে বরকন্যার অসম্পূর্ণ বিবাহের পরিসমাপ্তি। কল্পনায় সমস্ত ব্যাপারটিকে আগাগোড়া উজ্জ্বল ক’রে মনের মধ্যে জাগিয়ে দেওয়াই এই কবিতার সার্থকতা।

বিবাহসভায় বরের প্রতি যুদ্ধের আহ্বান এবং বিবাহের প্রতিহত প্রত্যাশায় কন্যার মৃত্যুকে বরণ করে এই দুই আকস্মিকতার নিদারুণতায় এই কবিতার রস। এক দিকে করুণতা অন্য দিকে বীর্য মহিমালাভ করেছে তারি ব্যাখ্যা করো।

আষাঢ়

আষাঢ়ে বর্ষা নেমেছে। পল্লীজীবনের একটি উদ্‌বেগের চাঞ্চল্যের উপর এই ছবিটি ঘনিয়ে উঠেছে। সেই উদ্‌বেগের কী রকম বর্ণনা করা হয়েছে মনের মধ্যে এঁকে নিয়ে তোমাদের ভাষায় প্রকাশ করো।

নগরলক্ষী

শ্রাবস্তীপুরীতে দুর্ভিক্ষ যখন দেখা দিল, বুদ্ধদেব তাঁর শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন এ নগরীর ক্ষুধা-নিবারণের ভার কে নেবে। তাদের প্রত্যেকের উত্তর শুনে বোঝা গেল স্বতন্ত্র ব্যক্তিগতভাবে কারো সাধ্য নেই এই গুরুতর কর্তব্য সম্পন্ন করা। তখন অনাথপিণ্ডদের কন্যা ভিক্ষুণী সুপ্রিয়া বললেন, এই ভার আমি নেব। ভিক্ষুণী আপন নিঃস্বতা সত্ত্বেও এই গুরুভার নিলেন কিসের জোরে।

বিম্ববতী

সুন্দরকে যে নারী সৌন্দর্যে ছাড়িয়ে যেতে চায় সে কি সুন্দরের বিপরীত মনোভাব ও চেষ্টা দ্বারা জগতে কৃতকার্য হোতে পারে। সেই প্রয়াসে ফল হোলো কী।

কর্ম

কর্মের বিধান নিষ্ঠুর। মানুষের নিবিড়তম বেদনার উপর দিয়েও তার রথচক্র চ’লে যায়। এই কবিতায় যে ভৃত্যটির কথা আছে রাত্রে তার মেয়েটি মারা গেছে, তবু কাজের দাবি থেকে তার নিস্কৃতি নেই। কিন্তু এই কবিতায় যে সকরুণতাপ্রকাশ পেয়েছে সেটা কেবল এ নিয়ে নয়। সকাল বেলায় কয়েক ঘণ্টা কাজে যোগ দিতে তার দেরি হয়েছিল সেইজন্য মনিব যখন ক্রুদ্ধ ও অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছিলেন ঠিক সেই সময়ে মেয়েটির মৃত্যুসংবাদ পাবামাত্র মনিব লজ্জিত হলেন। প্রভু মনিবের ভেদের উপরেও কোন এক জায়গায় উভয়ের গভীরে ঐক্য প্রকাশ পেল?