সারস্বত সমাজ ২

গ্রন্থের স্থৈর্যরক্ষ করিতে হইলে সর্বত্র এক অর্থ রাখা আবশ্যক। অভিধান স্থির করিলে ইহা সহজ হইতে পারিত; কিন্তু তাহার উপায় নাই। কারণ অনেক শব্দ এখনও প্রস্তুত হয় নাই। অতএব এক এক শাস্ত্র লইয়া তাহার শব্দগুলি আগে স্থির করা একান্ত আবশ্যক।

বক্তা বলিলেন, অল্পবয়স্ক শিশুদের হাতেই ভূগোল দেওয়া হয়—অতএব ভূগোলের পরিভাষা স্থির করাই সারস্বত সমাজের প্রথম কার্য হউক, তাহার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকরণেরও কিছু কিছু হইলে ভালো হয়।

উপসংহারে বক্তা বলিলেন—সারস্বত সমাজের তিন-চারিজন সভ্য মিলিয়া একটি সমিতি করিয়া প্রথমত ভৌগোলিক পরিভাষা সম্বন্ধে একটা মীমাংসা করুন, পরে সাধারণ সভায় তাহা স্থির হউক।

তৎপরে নিম্নলিত প্রস্তাবগুলি সভায় পরে পরে উত্থাপিত ও গ্রাহ্য হইল—

প্রথম—ভূগোলের পরিভাষা স্থির করা আবশ্যক। দ্বিতীয়—তদ্‌বিষয়ে কী করা কর্তব্য তাহা অনুসন্ধানার্থ একটি সমিতি বসিবে ও নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ সমিতির সভ্য হইবেন।

কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কালীবর বেদান্তবাগীশ, রামকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, সজ্ঞীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ বসু, হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।

তৃতীয়—তিনমাস পরে উক্ত সমিতির কার্য সাধারণ সভায় বিজ্ঞাপত হইবে।

চতুর্থ—যে-সকল ভৌগোলিক শব্দ আলোচনা করিতে হইবে, শ্রীযক্ত বাবু রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় তাহার তালিকা প্রস্তুত করিয়া সমিতিকে সমর্পন করিবেন।

সভাপতিকে ধন্যবাদ দিয়া সভা ভঙ্গ হইল।