শৈশবসঙ্গীত
তালে তালে করতালি দেয় কেহ সঘনে।
    কোনো ফুলরমণী
    চুপি চুপি অমনি
ফুলবালকের কানে কথা যায় বলিয়ে।
    কোথাও বা বিজনে
    বসি আছে দুজনে,
পৃথিবীর আর সব গেছে যেন ভুলিয়ে!
    কোনো ফুলবালিকা
    গাঁথি ফুলমালিকা
ফুলবালকের কথা একমনে শুনিছে,
    বিব্রত শরমে
    হরষিত-মরমে
আনত আননে বালা ফুলদল গুণিছে!

দেখেছ হোথায় অশোকবালক
    মালতীর পাশে গিয়া
কহিছে কত কি মরমকাহিনী,
    খুলিয়া দিয়াছে হিয়া।
ভ্রূকুটি করিয়া নিদয়া মালতী
    যেতেছে সুদূরে চলি,
মৃদু-উপহাসে সরল প্রেমের
    কোমলহৃদয় দলি।
অধীর অশোক যদি বা কখনো
    মালতীর কাছে আসে,
ছুটিয়া অমনি পলায় মালতী
    বসে বকুলের পাশে।
থাকিয়া থাকিয়া সরোষ ভ্রূকুটি
    অশোকের পানে হানে—
ভ্রূকুটি সেগুলি বাণের মতন
    বিঁধিল অশোকপ্রাণে।