শৈশবসঙ্গীত
“মালতী” “মালতী” বলিয়া বালার
    হাতটি ধরিল চাপি!
হরষে ভাসিয়া কহিল মালতী
    হেঁট করি আহা মাথা,
“অশোক— অশোক— মালতী তোমার
    এই যে রয়েছে হেথা!”
ঘুমের ঘোরেতে পশিল শ্রবণে
    “এই-যে, রয়েছে হেথা!”
নয়নের জলে ভিজায়ে পলক
    অশোক তুলিল মাথা!
একি রে স্বপন? এখনো একি রে
    স্বপন দেখিছে নাকি?
আবার চাহিল অশোকবালক,
    আবার মাজিল আঁখি!
অবাক্‌ হইয়া রহিল বসিয়া,
    বচন নাহিক সরে—
থাকিয়া থাকিয়া পাগলের মত
    কহিল অধীর স্বরে,
“মালতী— মালতী— আমার মালতী!”
    মালতী কহিল কাঁদি
“তোমারি মালতী! তোমারি মালতী!”
    অশোকের হৃদয়ে বাঁধি!—
“ক্ষমা কর মোরে অশোক আমার,
    কত না দিয়েছি জ্বালা!
ভালবাসি ব’লে ক্ষমা কর মোরে
    আমি যে অবোধ বালা!
তোমার হৃদয় ছাড়িয়া কখন
    আর না যাইব চলি,
দিবস রজনী রহিব হেথায়
    বিষাদ ভাবনা ভুলি!
ও হৃদয় ছাড়ি মালতীর আর