নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা
নিববে বাতি, পথ হবে অন্ধকার,
    ঝড়ে-বাসা-ভাঙা পাখি
ঘুরে ঘুরে পড়বে এসে মোর দ্বারে।
    দুরু দুরু করে মোর বক্ষ,
মনের মাঝে ঝিলিক দিতেছে বিজুলি।
দূরে যেন ফেনিয়ে উঠেছে সমুদ্র—
    তল নেই, কূল নেই তার।
    মন্ত্র খাটবে মা, খাটবে।
মা।      এইবার আয়নার সামনে নাচ্‌ দেখি তুই,
        দেখ্‌ দেখি কী ছায়া পড়ল।
প্রকৃতির নৃত্য
প্রকৃতি।     লজ্জা ছি ছি লজ্জা!
      আকাশে তুলে দুই বাহু
              অভিশাপ দিচ্ছেন কাকে।
        নিজেরে মারছেন বহ্নির বেত্র,
          শেল বিঁধছেন যেন আপনার মর্মে।
মা।     ওরে বাছা, এখনি অধীর হলি যদি,
        শেষে তোর কী হবে দশা।
প্রকৃতি।      আমি দেখব না, আমি দেখব না,
        আমি দেখব না তোর দর্পণ।
বুক ফেটে যায়, যায় গো,
        বুক ফেটে যায়।
কী ভয়ংকর দুঃখের ঘূর্ণিঝঞ্ঝা—
মহান বনস্পতি ধুলায় কি লুটাবে,
        ভাঙবে কি অভ্রভেদী তার গৌরব।
দেখব না, আমি দেখব না তোর দর্পণ।
            না না না।
মা।      থাক্‌ তবে থাক্‌ এই মায়া।
    প্রাণপণে ফিরিয়ে আনব মোর মন্ত্র—
        নাড়ী যদি ছিঁড়ে যায় যাক,
    ফুরায়ে যায় যদি যাক নিশ্বাস।