প্রতিবেশিনী

হৃৎপিণ্ডটা যদি লোহার বয়লার হইত তো এক চমকে ধক্‌ করিয়া ফাটিয়া যাইত। জিজ্ঞাসা করিলাম, “বিধবাবিবাহে তাঁহার অমত নাই? ”

নবীন হাসিয়া কহিল, “সম্প্রতি তো নাই।”

আমি কহিলাম, “কেবল কবিতা পড়িয়াই তিনি মুগ্ধ? ”

নবীন কহিল, “কেন, আমার সেই কবিতাগুলি তো মন্দ হয় নাই।”

আমি মনে মনে কহিলাম, ‘ধিক্‌।’

ধিক্ কাহাকে। তাঁহাকে, না আমাকে, না বিধাতাকে। কিন্তু ধিক্‌।