রাজা ও রানী

অসাধ্য আমার। তার চেয়ে অন্তরালে

গুপ্ত থেকে শুনি বসে তোমাদের কথা।

[ প্রস্থান
কুমারসেন ও সুমিত্রার প্রবেশ

কুমারসেন। প্রণাম।

   সুমিত্রা।          প্রণাম তাত!

  চন্দ্রসেন।                     দীর্ঘজীবী হও।

কুমারসেন। বহু পূর্বে পাঠায়েছি সংবাদ, রাজন্‌,

শত্রুসৈন্য আসিছে পশ্চাতে, আক্রমণ

করিতে কাশ্মীর। কই রণসজ্জা কই?

কোথা সৈন্যবল?

  চন্দ্রসেন।                     শত্রুপক্ষ কারে বল?

বিক্রম কি শত্রু হল? জননী সুমিত্রা,

বিক্রম কি নহে বৎসে কাশ্মীর-জামাতা?

সে যদি আসিল গৃহে এতকাল পরে,

অসি দিয়ে তারে কি করিব সম্ভাষণ?

   সুমিত্রা। হায় তাত, মোরে কিছু করো না জিজ্ঞাসা।

আমি দুর্ভাগিনী নারী কেন আসিলাম

অন্তঃপুর ছাড়ি! কোথা লুকাইয়া ছিল

এত অকল্যাণ। অবলা নারীর ক্ষীণ

ক্ষুদ্র পদক্ষেপে সহসা উঠিল রুষি

সর্প শতফণা! মোরে কিছু শুধায়ো না।

বুদ্ধিহীনা আমি। – তুমি সব জান ভাই!

তুমি জ্ঞানী, তুমি বীর, আমি পদপ্রান্তে

মৌন ছায়া। তুমি জান সংসারের গতি,

আমি শুধু তোমারেই জানি।

কুমারসেন।                              মহারাজ,

আমাদের শত্রু নহে জালন্ধরপতি,

নিতান্তই আপনার জন। কাশ্মীরের

শত্রু তিনি, আসিছেন শত্রুভাব ধরি।

অকাতরে সহিয়াছি নিজ অপমান,