বিসর্জন
চতুর্থ দৃশ্য
মন্দির
রঘুপতি

রঘুপতি।     দেখো, দেখো, কী করে দাঁড়ায়ে আছে, জড়

পাষাণের স্তূপ, মূঢ় নির্বোধের মতো।

মূক, পঙ্গু, অন্ধ ও বধির! তোরি কাছে

সমস্ত ব্যথিত বিশ্ব কাঁদিয়া মরিছে!

পাষাণ-চরণে তোর, মহৎ হৃদয়

আপনারে ভাঙিছে আছাড়ি। হা হা হা হা!

কোন্‌ দানবের এই ক্রূর পরিহাস

জগতের মাঝখানে রয়েছে বসিয়া।

মা বলিয়া ডাকে যত জীব, হাসে তত

ঘোরতর অট্টহাস্যে নির্দয় বিদ্রূপ।

দে ফিরায়ে জয়সিংহে মোর! দে ফিরায়ে!

দে ফিরায়ে রাক্ষসী পিশাচী!

 

নাড়া দিয়া

 

শুনিতে কি

পাস? আছে কর্ণ? জানিস কী করেছিস?

কার রক্ত করেছিস পান? কোন্‌ পুণ্য

জীবনের? কোন্‌ স্নেহদয়াপ্রীতি-ভরা

মহাহৃদয়ের?

থাক্‌ তুই চিরকাল

এইমত— এই মন্দিরের সিংহাসনে,

সরল ভক্তির প্রতি গুপ্ত উপহাস!

দিব তোর পূজা প্রতিদিন, পদতলে

করিব প্রণাম, দয়াময়ী মা বলিয়া

ডাকিব তোমারে। তোর পরিচয় কারো

কাছে নাহি প্রকাশিব, শুধু ফিরায়ে দে