ছেলেভুলানো ছড়া : ২
                ৭৮
এত টকা নিলে বাবা ছাঁদ্‌লাতলায় বসে।
এখন কেন কাঁদ বাবা গামছা মুখে দিয়ে॥
আমরা যাব পরের ঘরে পর-অধীন হয়ে।
পরের বেটী মুখ করবে মুখ নাড়া দিয়ে।
দুই চক্ষের জল পড়বে বসুধারা দিয়ে॥

                 ৭৯
ও পারে দুটো শিয়াল চন্দন মেখেছে।
কে দেখেছে, কে দেখেছে, দাদা দেখেছে॥
দাদার হাতের লাল নাঠিখান ফেলে মেরেছে।
দুই দিকে দুই কাৎলা মাছ ভেসে উঠেছে॥
একটা নিলে কিঁয়ের মা একটা নিলে কিঁয়ে।
ঢোকুম্‌ কুম্‌ বাজনা বাজে, অকার মার বিয়ে॥

                 ৮০
ওই আসছে খোঁড়া জামাই ডিং ডিং বাজিয়ে।
ক্ষীরের হাঁড়িতে দই প’ল, ছাই খাক্‌ সে॥
হাঁড়ায় আছে কাৎলা মাছ, ধরে আন্‌ গে।
দুই দিকে দুই কাৎলা মাছ ভেসে উঠেছে॥
একটি নিলেন গুরুঠাকুর একটি নিলে টিয়ে।
টিয়ের মার বিয়ে লাল গামছা দিয়ে॥
লাল গামছায় হল নাকো, তসর এনে দে।
তসর করে মসর-মসর, শাড়ি এনে দে।
শাড়ির ভারে উঠতে নারি, শালারা কাঁদে॥

                 ৮১
আলুর পাতায় ছালুরে ভাই ভেল্লা পাতায় দই।
সকল জামাই এল রে আমার খোঁড়া জামাই কই॥
ওই আসছে খোঁড়া জামাই টুঙটুঙি বাজিয়ে।
ভাঙা ঘরে শুতে দিলাম ইঁদুরে নিল কান।
কেঁদো না কেঁদো না জামাই গোরু দিব দান।
সেই গোরুটার নাম থুইয়ো পুণ্যবতীর চাঁদ॥

 

(৬১-৬৪ সংখ্যক ছড়া কোনো বিক্রমপুরনিবাসী ভদ্রগৃহস্থ হইতে সংগৃহীত)