বাদানুবাদ
দিয়াছি।

কবিরাজ মহাশয় বলেন যে, যদিচ আমরা বলি না, “লোকগুলাতে নিন্দা করে” কিন্তু “সব লোকে নিন্দা করে” বলা চলে। অতএব কর্তৃকারকে একার প্রয়োগ কেবল এক-বচনেই চলে এমন কথা জোর দিয়া বলা ঠিক নয়।

কর্মকারকে অপ্রাণীবাচক শব্দের উত্তর সাধারণত “কে” চিহ্ন বসে না, কিন্তু পরে ‘টা’ বা ‘টি’ থাকিলে বসে, আমি এই নিয়মের উল্লেখ করিয়াছিলাম। কিন্তু আমার ভাষা-প্রয়োগের দোষে কবিরাজ মহাশয় মনে করিয়াছেন যে আমার মতে ‘টা’ ‘টি’ বিশিষ্ট শব্দ কর্মকারকে নির্বিশেষে ‘কে’ চিহ্ন গ্রহণ করে। এইজন্য তিনি কয়েকটি বিরুদ্ধ দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছেন যথা, “আগুনের তেজটা দেখ” “তরকারিটা খাওয়া গেল না।” ইত্যাদি।

কবিরাজ মহাশয় আমার বাক্যরচনায় যে শৈথিল্য নির্দেশ করিয়াছেন আমি কৃতজ্ঞতার সহিত সেই ত্রুটি স্বীকার করিতেছি।

কয়েকটি প্রতিশব্দ সম্বন্ধে তিনি যাহা বলেন তাহা চিন্তার যোগ্য। “যে রোগ পিতামাতা হইতে পুত্রপৌত্রে যায়” তাহাকে আয়ুর্বেদে ‘সঞ্চারিরোগ’ বলে। Heredity কুলসঞ্চারিতা, inherited কুলসঞ্চারী বলিলে হয় না? আয়ুর্বেদে নাছোড়বান্দার একটি ঠিক সংস্কৃত প্রতিশব্দ আছে—‘অনুষঙ্গী’।