ছন্দের মাত্রা

ছন্দেও যতিবিভাগ সম্বন্ধে কোনো কোনো ক্ষেত্রে can-এর নিষেধ বলবান নয়, কিন্তু তবু may-র নিষেধ স্বীকার্য। একটা দৃষ্টান্ত দেখা যাক। পাঠকমহলে স্বনামখ্যাত পয়ার ছন্দের একটা পাকা পরিচয় আছে, এইজন্যে তার পদে কোথায় আধা যতি কোথায় পুরো যতি তা নিয়ে বচসার আশঙ্কা নেই। নিম্নলিখিত কবিতার চেহারা অবিকল পয়ারের। সেই চোখের দলিলের জোরে তার সঙ্গে পয়ারের চালে ব্যবহার অবৈধ হয় না।

মাথা তুলে তুমি যবে চল তব রথে

তাকাও না কোথা আমি ফিরি পথে পথে,

অবসাদজাল মোরে ঘেরে পায় পায়।

মনে পড়ে, এই হাতে নিয়েছিলে সেবা,

তবু হায় আজ মোরে চিনিবে সে কেবা,

তোমারি চাকার ধুলা মোরে ঢেকে যায়।

কিন্তু যদি পয়ার নাম বদলিয়ে এর নাম দেওয়া যায় ‘ষড়ঙ্গী’ এবং এর যথোচিত সংজ্ঞা নির্দেশ করি তাহলে বিনা প্রতিবাদে নিম্নলিখিত ভাগেই একে পড়া উচিত হবে।

মাথা তুলে তুমি

যবে চল তব

রথে

তাকাও না কোথা

আমি ফিরি পথে

পথে,

অবসাদজাল

ঘেরে মোরে পায়

পায়।

মনে পড়ে, এই

হাতে নিয়েছিলে

সেবা–

তবু হায় আজ

মোরে চিনিবে সে

কেবা–

তোমারি চাকার

ধুলা মোরে ঢেকে

যায়।

এর প্রত্যেক পদে চোদ্দ মাত্রা, তিন কলা, সেই কলার মাত্রাসংখ্যা যথাক্রমে ছয় ছয় দুই।

অমূল্যবাবুর মতে, বাংলায় নয় মাত্রার ছন্দ নেই, আছে দশ মাত্রার, কিন্তু দশ মাত্রার ঊর্দ্ধে আর ছন্দ চলে না। আমি অনেক