নিদাঘকালঃ গ্রীষ্মকাল
তড়াগঃ পুষ্করিণী
আতপঃ রৌদ্র
পরিক্ষীণ ক্ষয়প্রাপ্ত
পাংশুঃ ধূলি
সরস্তীরং সরোবরের তীর
কুরঙ্গঃ হরিণ
নিদাঘকালঃ সমুপাগতঃ। প্রচণ্ডঃ সূর্য্যো ভাতি (১২)। তপ্তোবার্য়ুবাতি (১২, ১৫)। কূপস্তড়াগশ্চ শুষ্যতি (১৮, ১৬)। দিবসঃ প্রখরাতপো ভবতি (১২)। গাত্রং দহতি। পিঞ্জরে শুকো ন জল্পতি (১২)।* নদী পরিক্ষীণা শোভতে। শুষ্কং পত্রং পততি। পাংশুরুদ্গচ্ছতি গগনে (১৪)। বকুলশ্চম্পকশ্চ বিকশতি (১৬)। সরস্তীরে মৃগশ্চরতি (১৬)। শ্রান্তো গৌঃ শব্দায়তে (১২)। শুষ্কা শাখা কম্পতে পবনাহতা। ক্ষুধিতঃ পান্থঃ পচতি তরুতলে। ছায়ান্বেষী+ কুরঙ্গো ধাবতি (১২)। পাঠাগারে পঠতিচ্ছাত্রঃ (১৯)।
ক। সন্ধিবিচ্ছেদ করো।
খ। বিশেষ্য, বিশেষণ ও ক্রিয়ানির্ব্বাচন করো।
গ। পুংলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ ও ক্লীবলিঙ্গ পৃথক্ করো।
ঘ। যে ক্রিয়াগুলি তি-অন্ত এবং যেগুলি তে-অন্ত তাহাদিগকে পৃথক্ করো।
ঙ। নিদাঘকালঃ সমুপাগতঃ, কূপস্তড়াগঃ, দিবসঃ প্রখরাতপঃ, পিঞ্জরঃ, নদী পরিক্ষীণা, পাংশুঃ, বকুলশ্চম্পকঃ, সরস্তীরং,
তরুতলং, ছায়ান্বেষী কুরঙ্গঃ, পাঠাগারঃ, ছাত্রঃ, এই কয়েকটি পদকে দ্বিবচন ও বহুবচন করো।
চ। প্রচণ্ড, তপ্ত, সমুপাগত, প্রখরাতপ, পরিক্ষীণ, শুষ্ক, শ্রান্ত, বিশেষণ শব্দগুলিকে যথাক্রমে পুংলিঙ্গ স্ত্রীলিঙ্গ ও ক্লীবলিঙ্গরূপে
একবচন দ্বিবচন ও বহুবচন করো।
ছ। নিম্নলিখিত শব্দগুলি যদি সংযুক্ত না হইত তবে বাংলায় তাহা কিরূপে লিখিত হইত।—
নিদাঘকাল, পবনাহত, তরুতল, পাঠাগার, ছায়ান্বেষী, প্রখরাতপ।
উত্তর। নিদাঘ-নামক কাল। পবনের দ্বারা আহত। তরুর তল। পাঠের আগার। ছায়ার অন্বেষী।
প্রখর যাহার আতপ।
*যে-সকল শব্দে সপ্তমী বিভক্তি অবিকল বাংলার অনুরূপ, সেই-সকল শব্দেই সপ্তমী বিভক্তি ব্যবহার করা হইয়াছে অতএব ইহা বুঝিতে ছাত্রদের কষ্ট হইবে না।
+ ছায়ান্বেষী বিশেষণ শব্দটি প্রহরী শব্দের ন্যায়।