প্রিয় নামটি শিখিয়ে দিত
সাধের শারিকারে,
নাচিয়ে দিত ময়ূরটিরে
কঙ্কণঝংকারে।
কপোতটিরে লয়ে বুকে
সোহাগ করত মুখে মুখে,
সারসীরে খাইয়ে দিত
পদ্মকোরক বহি।
অলক নেড়ে দুলিয়ে বেণী
কথা কইত শৌরসেনী,
বলত সখীর গলা ধরে—
‘ হলা পিয় সহি'।
জল সেচিত আলবালে
তরুণ সহকারে,
প্রিয় নামটি শিখিয়ে দিত
সাধের শারিকারে।
নবরত্নের সভার মাঝে
রইতাম একটি টেরে,
দূর হইতে গড় করিতাম
দিঙ্নাগাচার্যেরে।
আশা করি নামটা হত
ওরই মধ্যে ভদ্রমত—
বিশ্বসেন কি দেবদত্ত
কিম্বা বসুভূতি।
স্রগ্ধরা কি মালিনীতে
বিম্বাধরের স্তুতিগীতে
দিতাম রচি দুটি - চারটি
ছোটোখাটো পুঁথি।