তারে  আপন বুকে বিঁধিয়ে রাখিস।
                 দয়িতেরে দিয়েছিলি সুধা,
                    আজিও তাহার মেটে নি ক্ষুধা–
                       এখনি তাহে মিশাবি কি বিষ।
              যে জ্বলনে তুই মরিবি মরমে মরমে
                       কেন তারে বাহিরে ডাকিস॥ স্বরলিপি [1]
     বজ্রসেন।  কী করিয়া সাধিলে অসাধ্য ব্রত কহো বিবরিয়া।
              জানি যদি, প্রিয়ে,  শোধ দেব এ জীবন দিয়ে
                        এই মোর পণ॥ স্বরলিপি [2]
       শ্যামা।  তোমা লাগি যা করেছি কঠিন সে কাজ,
              আরো সুকঠিন আজ তোমারে সে কথা বলা।
                 বালক কিশোর উত্তীয় তার নাম,
                    ব্যর্থ প্রেমে মোর মত্ত অধীর–
              মোর অনুনয়ে তব চুরি-অপবাদ নিজ-’পরে লয়ে
                          সঁপেছে আপন প্রাণ॥ স্বরলিপি [3]
      বজ্রসেন।  কাঁদিতে হবে রে,  রে পাপিষ্ঠা, জীবনে পাবি না শান্তি।
               ভাঙিবে– ভাঙিবে কলুষনীড় বজ্র-আঘাতে॥ স্বরলিপি [4]
        শ্যামা।  হে,  ক্ষমা করো নাথ, ক্ষমা করো।
               এ পাপের যে অভিসম্পাত
               হোক বিধাতার হাতে নিদারুণতর।
               তুমি ক্ষমা করো, তুমি ক্ষমা করো, তুমি ক্ষমা করো॥ স্বরলিপি [5]
      বজ্রসেন।   এ জন্মের লাগি
               তোর পাপমূল্যে কেনা মহাপাপভাগী
                       এ জীবন করিলি ধিক্‌কৃত!
               কলঙ্কিনী, ধিক্‌ নিশ্বাস মোর তোর কাছে ঋণী
                           কলঙ্কিনী॥ স্বরলিপি [6]
        শ্যামা।  তোমার কাছে দোষ করি নাই, দোষ করি নাই।
               দোষী আমি বিধাতার পায়ে,
                  তিনি করিবেন রোষ– সহিব নীরবে।
               তুমি যদি না কর দয়া  সবে না, সবে না, সবে না॥ স্বরলিপি [7]
       বজ্রসেন।  তবু ছাড়িবি নে মোরে? স্বরলিপি [8]
         শ্যামা।  ছাড়িব না, ছাড়িব না, ছাড়িব না॥