সব - পেয়েছি’র দেশে কারো
নাই রে কোঠাবাড়ি—
দুয়ার খোলা পড়ে আছে,
কোথায় গেল দ্বারী।
অশ্বশালায় অশ্ব কোথায়,
হস্তীশালায় হাতি,
স্ফটিকদীপে গন্ধতৈলে
জ্বালায় না কেউ বাতি।
রমণীরা মোতির সিঁথি
পরে না কেউ কেশে,
দেউলে নেই সোনার চূড়া
সব - পেয়েছি’র দেশে।
পথের ধারে ঘাস উঠেছে
গাছের ছায়াতলে,
স্বচ্ছতরল স্রোতের ধারা
পাশ দিয়ে তার চলে।
কুটিরেতে বেড়ার ’পরে
দোলে ঝুমকা - লতা,
সকাল হতে মৌমাছিদের
ব্যস্ত ব্যাকুলতা।
ভোরের বেলা পথিকেরা
কী কাজে যায় হেসে,
সাঁজে ফেরে বিনা - বেতন
সব - পেয়েছি’র দেশে।
আঙিনাতে দুপুরবেলা
মৃদুকরুণ গেয়ে
বকুলতলার ছায়ায় ব’সে
চরকা কাটে মেয়ে।