উপাধ্যায়। এ সহ্য করা চলবেই না। আচার্য কি শেষে আমাদের ম্লেচ্ছের সঙ্গে সমান করে দিতে চান?
মহাপঞ্চক। উনি আজ সুভদ্রকে বাঁচাতে গিয়ে সনাতন ধর্মকে বিনাশ করবেন! এ কী রকম বুদ্ধিবিকার ওঁর ঘটল? এ অবস্থায় ওঁকে আচার্য বলে গণ্য করাই চলবে না।
সঞ্জীব। এতদিন এখানে সব ঠিক চলছিল। যেই গুরু আসবেন রব উঠল অমনি কেন এই-সব অনাচার ঘটতে লাগল?
বিশ্বম্ভর। আচার্য অদীনপুণ্য যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন, তবে তিনি যেমন আছেন থাকুন কিন্তু আমরা তাঁর কোনো অনুশাসন মানব না।
জয়োত্তম। তিনি বলেন, তাঁর গুরু তাঁকে যে আসনে বসিয়েছেন তাঁর গুরুই তাঁকে সেই আসন থেকে নামিয়ে দেবেন, সেইজন্যে তিনি অপেক্ষা করছেন।
উপাধ্যায়। কী গো অধ্যেতা, ব্যাপার কী?
অধ্যেতা। সুভদ্রকে মহাতামসে বসায় কার সাধ্য?
মহাপঞ্চক। কেন কী বিঘ্ন ঘটেছে?
অধ্যেতা। মূর্তিমান বিঘ্ন রয়েছে তোমার ভাই!
মহাপঞ্চক। পঞ্চক?
অধ্যেতা। হাঁ। আমি ডাকতেই সুভদ্র ছুটে এল কিন্তু পঞ্চক তাকে কেড়ে নিয়ে গেল।
মহাপঞ্চক। না, এই নরাধমকে নিয়ে আর চলল না। অনেক সহ্য করেছি। এবার ওকে নির্বাসন দেওয়াই স্থির। কিন্তু অধ্যেতা, তুমি এটা সহ্য করলে?
অধ্যেতা। আমি কি তোমার পঞ্চককে ভয় করি? স্বয়ং আচার্য অদীনপুণ্য এসে তাকে আদেশ করলেন, তাই তো সে সাহস পেলে।
সঞ্জীব। স্বয়ং আমাদের আচার্য!
বিশ্বম্ভর। ক্রমে এ-সব হচ্ছে কী! এতদিন এই আয়তনে আছি, কখনো তো এমন অনাচারের কথা শুনি নি। আর স্বয়ং আমাদের আচার্যের এই কীর্তি!
জয়োত্তম। তাঁকে একবার জিজ্ঞাসা করেই দেখা যাক-না।
বিশ্বম্ভর। না না, আচার্যকে আমরা –
মহাপঞ্চক। কী করবে আচার্যকে, বলেই ফেলো।
বিশ্বম্ভর। তাই তো ভাবছি কী করা যায়। তাকে না হয় –আপনি বলে দিন-না কী করতে হবে।
মহাপঞ্চক। আমি বলছি তাঁকে সংযত করে রাখতে হবে।
সঞ্জীব। কেমন করে?
মহাপঞ্চক। কেমন করে আবার কী! মত্ত হস্তীকে যেমন করে সংযত করতে হয় তেমনি করে।
জয়োত্তম। আমাদের আচার্যদেবকে কি তা হলে –