বিরহপ্রদীপে জ্বলুক দিবসরাতি
মিলনস্মৃতির নির্বাণহীন বাতি॥ ৬৭
মেঘের দল বিলাপ করে
আঁধার হল দেখে,
ভুলেছে বুঝি নিজেই তারা
সূর্য দিল ঢেকে॥ ৬৮
ভিক্ষুবেশে দ্বারে তার ‘দাও’ বলি দাঁড়ালে দেবতা
মানুষ সহসা পায় আপনার ঐশ্বর্যবারতা॥ ৬৯
গুণীর লাগিয়া বাঁশি চাহে পথপানে,
বাঁশির লাগিয়া গুণী ফিরিছে সন্ধানে॥ ৭০
অসীম আকাশ শূন্য প্রসারি রাখে,
হোথায় পৃথিবী মনে মনে তার
অমরার ছবি আঁকে॥ ৭১
কুন্দকলি ক্ষুদ্র বলি নাই দুঃখ, নাই তার লাজ,
পূর্ণতা অন্তরে তার অগোচরে করিছে বিরাজ।
বসন্তের বাণীখানি আবরণে পড়িয়াছে বাঁধা,
সুন্দর হাসিয়া বহে প্রকাশের সুন্দর এ বাধা॥ ৭২
ফুলগুলি যেন কথা,
পাতাগুলি যেন চারি দিকে তার
পুঞ্জিত নীরবতা॥ ৭৩
দিবসের অপরাধ সন্ধ্যা যদি ক্ষমা করে তবে
তাহে তার শান্তিলাভ হবে॥ ৭৪
আকর্ষণগুণে প্রেম এক করে তোলে।
শক্তি শুধু বেঁধে রাখে শিকলে শিকলে॥ ৭৫