মহাতরু বহে বহু বরষের ভার।
যেন সে বিরাট এক মুহূর্ত তার॥ ৭৬
পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয়,
পথের দুধারে আছে মোর দেবালয়॥ ৭৭
ধরায় যেদিন প্রথম জাগিল
কুসুমবন
সেদিন এসেছে আমার গানের
নিমন্ত্রণ॥ ৭৮
হিতৈষীর স্বার্থহীন অত্যাচার যত
ধরণীরে সব চেয়ে করেছে বিক্ষত॥ ৭৯
স্তব্ধ অতল শব্দবিহীন মহাসমুদ্রতলে
বিশ্বফেনার পুঞ্জ সদাই ভাঙিয়া জুড়িয়া চলে॥ ৮০
নরজনমের পুরা দাম দিব যেই
তখনি মুক্তি পাওয়া যাবে সহজেই॥ ৮১
গোঁয়ার কেবল গায়ের জোরেই বাঁকাইয়া দেয় চাবি,
শেষকালে তার কুড়াল ধরিয়া করে মহা দাবাদাবি॥ ৮২
জন্ম মোদের রাতের আঁধার রহস্য হতে
দিনের আলোর সুমহত্তর রহস্যস্রোতে॥ ৮৩
আমার প্রাণের গানের পাখির দল
তোমার কণ্ঠে বাসা খুঁজিবারে
হল আজি চঞ্চল॥ ৮৪