পুঁথি-কাটা ওই পোকা মানুষকে জানে বোকা।
বই কেন সে যে চিবিয়ে খায় না
এই লাগে তার ধোঁকা॥ ১০৪
আকাশে মন কেন তাকায় ফলের আশা পুষি?
কুসুম যদি ফোটে শাখায় তা নিয়ে থাক্ খুশি॥ ১০৫
অনন্তকালের ভালে মহেন্দ্রের বেদনার ছায়া,
মেঘান্ধ অম্বরে আজি তারি যেন মূর্তিমতী মায়া॥ ১০৬
সূর্যাস্তের রঙে রাঙা ধরা যেন পরিণত ফল,
আঁধার রজনী তারে ছিঁড়িতে বাড়ায় করতল॥ ১০৭
প্রজাপতি পায় অবকাশ
ভালোবাসিবারে কমলেরে।
মধুকর সদা বারোমাস
মধু খুঁজে খুঁজে শুধু ফেরে॥ ১০৮
মায়াজাল দিয়া কুয়াশা জড়ায় প্রভাতেরে চারি ধারে,
অন্ধ করিয়া বন্দী করে যে তারে॥ ১০৯
শুকতারা মনে করে
শুধু একা মোর তরে
অরুণের আলো।
উষা বলে, ‘ ভালো, সেই ভালো। ' ১১০
অজানা ফুলের গন্ধের মতো তোমার হাসিটি, প্রিয়,
সরল, মধুর, কী অনির্বচনীয়॥ ১১১
মৃতের যতই বাড়াই মিথ্যা মূল্য,
মরণেরই শুধু ঘটে ততই বাহুল্য॥ ১১২