কাছে থাকার আড়ালখানা ভেদ ক’রে
তোমার প্রেম দেখিতে যেন পায় মোরে॥ ১২৮
ওই শুন বনে বনে কুঁড়ি বলে তপনেরে ডাকি —
‘খুলে দাও আঁখি’॥ ১২৯
ধরার মাটির তলে বন্দী হয়ে যে-আনন্দ আছে
কচিপাতা হয়ে এল দলে দলে অশথের গাছে।
বাতাসে মুক্তির দোলে ছুটি পেল ক্ষণিক বাঁচিতে,
নিস্তব্ধ অন্ধের স্বপ্ন দেহ নিল আলোয় নাচিতে॥ ১৩০
খেলার খেয়ালবশে কাগজের তরী
স্মৃতির খেলেনা দিয়ে দিয়েছিনু ভরি
যদি ঘাটে গিয়ে ঠেকে প্রভাতবেলায়
তুলে নিয়ো তোমাদের প্রাণের খেলায়॥ ১৩১
দিনের আলোক যবে রাত্রির অতলে
হয়ে যায় হারা
আঁধারের ধ্যাননেত্রে দীপ্ত হয়ে জ্বলে
শত লক্ষ তারা।
আলোহীন বাহিরের আশাহীন দয়াহীন ক্ষতি
পূর্ণ করে দেয় যেন অন্তরের অন্তহীন জ্যোতি॥ ১৩২
অস্তরবির আলো-শতদল
মুদিল অন্ধকারে।
ফুটিয়া উঠুক নবীন ভাষায়
শ্রান্তিবিহীন নবীন আশায়
নব উদয়ের পারে॥ ১৩৩
জীবন-খাতার অনেক পাতাই এমনিতরো শূন্য থাকে ;
আপন মনের ধেয়ান দিয়ে পূর্ণ করে লও না তাকে।
সেথায় তোমার গোপন কবি
রচুক আপন স্বর্গছবি,
পরশ করুক দৈববাণী সেথায় তোমার কল্পনাকে॥ ১৩৪