ক্লাসের পড়ার উপলক্ষে
পড়ত বসে ‘ ওড্স্ টু নাইটিঙ্গেল ',
না-দেখা কোন্ বিদেশবাসী বিহঙ্গমের
না-শোনা সংগীতে
বক্ষে তাদের মোচড় দিত,
ঝরোখা সব খুলে যেত হৃদয়-বাতায়নে
ফেনায়িত সুনীল শূন্যতায়
উজাড় পরীস্থানে।
বরষ-কয়েক যেতেই
চোখে তাদের জুড়িয়ে গেল দৃষ্টি দহন
মরীচিকায়-পাগল হরিণীর।
ছেঁড়া মোজা শেলাই করার এল যুগান্তর,
বাজারদরের ঠকা নিয়ে চাকরগুলোর সঙ্গে বকাবকির,
চা-পান-সভায় হাঁটুজলের সখ্যসাধনার।
কিন্তু আমার স্বভাব বশে
ঘোর ভাঙে নি যখন ভোলামনে
এলুম তোমার কাছাকাছি।
চেনাশোনার প্রথম পালাতেই
পড়ল ধরা, একেবারে দুর্লভ নও তুমি —
আমার লক্ষ্য-সন্ধানেরই আগেই
তোমার দেখি আপনি বাঁধন-মানা।
হায় গো রাজার পুত্র,
একটু পরশ দেবামাত্র পড়ল মুকুট খ' সে
আমার পায়ের কাছে,
কটাক্ষেতে চেয়ে তোমার মুখে
হেসেছিলুম আবিল চোখের বিহ্বলতায়।
তাহার পরে হঠাৎ কবে মনে হল —
দিগন্ত মোর পাংশু হয়ে গেল,
মুখে আমার নামল ধূসর ছায়া ;
পাখির কণ্ঠে মিইয়ে গেল গান,