সে অকালে তোমাদেরি বাণী হয় রোচনা।
করুণায় ব’লে থাক, “ আহা, মন্দ বা কী। ”
খুঁটে বের কর না তো কোনো ছন্দ-ফাঁকি।
এইটুকু যা মিলেছে তাই পায় কজনা,
এত লোক করেছে তো ভারতীর ভজনা।
এর পর বাঁশি যবে ফেলে যাব ধুলিতে
তখন আমারে ভুলো পার যদি ভুলিতে।
সেদিন নূতন কবি দক্ষিণপবনে
মধু ঋতু মুখরিবে তোমাদের স্তবনে —
তখন আমার কোনো কীটে-কাটা পাতাতে
একটা লাইনও যদি পারে মন মাতাতে
তা হলে হঠাৎ বুক উঠিবে যে কাঁপিয়া
বৈতরণীতে যবে যাব খেয়া চাপিয়া।
এ কী গেরো। কাজ কী এ কল্পনাবিহারে,
সেণ্টিমেণ্টালিটি বলে লোকে ইহারে।
ম’রে তবু বাঁচিবার আবদার খোকামি,
সংসারে এর চেয়ে নেই ঘোর বোকামি।
এটা তো আধুনিকার সহিবে না কিছুতেই ;
এস্টিমেশনে তার পড়ে যাব নিচুতেই।
অতএব, মন, তোর কলসি ও দড়ি আন্,
অতলে মারিস ডুব মিড্-ভিক্টোরিয়ান।
কোনো ফল ফলিবে না আঁখিজল-সিচনে ;
শুকনো হাসিটা তবে রেখে যাই পিছনে।
গদ্গদ সুর কেন বিদায়ের পাঠটায়,
শেষ বেলা কেটে যাক ঠাট্টায় ঠাট্টায়।
তোমাদের মুখে থাক্ হাস্যের রোশনাই —
কিছু সীরিয়াস কথা বলি তবু, দোষ নাই।
কখনো দিয়েছে দেখা হেন প্রভাবশালিনী
শুধু এ-কালিনী নয়, যারা চিরকালিনী।
এ কথাটা ব’লে যাব মোর কন্ফেশানেই