Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://xn--u5bxfcqewdax4kraj7ob.xn--45brj9c)
স্ফুলিঙ্গ- সংযোজন, ২২
স্ফুলিঙ্গ
ছায়া-উপছায়া-
জড়িত মুগ্ধ চোখে—
নবপ্রভাতের পুণ্যপ্রসাদ মাগো।
রবির আশীর্বাদ—
নূতন জনমে নব নব দিন
তোমার জীবন করুক নবীন
অমল আলোকে দূরে হোক লীন
রজনীর অবসাদ।
মিলায়েছে দুই ধারা,
সেখানে তোমার দেখেছিনু কী চেহারা।
দ্বিবেণী তোমারে নাম দিয়েছিনু,
দুই-বেণী সোজাসুজি—
পিঠে নেমেছিল অচল ঝরনা বুঝি।
আজি এ কী দেখি! খোঁপায় তোমার
বাঁধিয়া তুলেছ বেণী—
চাঁদেরে মাগিয়া জমেছে মেঘের শ্রেণী।
এবার তোমার নামের বদল
না ক’রে উপায় নাই—
খোঁপা-গরবিণী, খোবানি ডাকিব তাই।
ছন্দে এঁকে চলেছিল কবি
জড়িত মুগ্ধ চোখে—
নবপ্রভাতের পুণ্যপ্রসাদ মাগো।
৬৫
প্রভাতের’পরে দক্ষিণ করে
রবির আশীর্বাদ—
নূতন জনমে নব নব দিন
তোমার জীবন করুক নবীন
অমল আলোকে দূরে হোক লীন
রজনীর অবসাদ।
৬৬
প্রয়াগে যেখানে গঙ্গা যমুনা;
মিলায়েছে দুই ধারা,
সেখানে তোমার দেখেছিনু কী চেহারা।
দ্বিবেণী তোমারে নাম দিয়েছিনু,
দুই-বেণী সোজাসুজি—
পিঠে নেমেছিল অচল ঝরনা বুঝি।
আজি এ কী দেখি! খোঁপায় তোমার
বাঁধিয়া তুলেছ বেণী—
চাঁদেরে মাগিয়া জমেছে মেঘের শ্রেণী।
এবার তোমার নামের বদল
না ক’রে উপায় নাই—
খোঁপা-গরবিণী, খোবানি ডাকিব তাই।
৬৭
প্রিয়ার দৌত্যের পথে
ছন্দে এঁকে চলেছিল কবি