Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://xn--u5bxfcqewdax4kraj7ob.xn--45brj9c)
স্ফুলিঙ্গ- সংযোজন, ৩২
স্ফুলিঙ্গ
কালের নূতন
সীমানাতে,
চিরযাত্রী ঋতু যথা
বসন্তের আনন্দমন্দিরে
ফাল্গুনে ফাল্গুনে আনে
মাধুরীর অর্ঘ্য ফিরে ফিরে।
সদ্য নবীন মাধুরীকে আনলি চোখে।
পুরোনোকে ঝরিয়ে দেওয়ার মন্ত্র সাধা
সরিয়ে দিলি জীবন-পথের জীর্ণ বাধা।
ফুল ফোটানোর আনন্দগান এলি শিখে—
কোথা থেকে ডাক দিয়েছিস মৌমাছিকে।
চঞ্চল ওই প্রাণের ঘায়ে তরুণ তোরা
উচ্ছলিয়া দিলি ধরার পাগলা-ঝোরা
তাই আজি এই নব বরষ স্নেহভরে
নবীন আশার বাহন তোদের আশিস্ করে।
মানব-গৃহে তোরা প্রাণের প্রথম বাণী
স্বর্গ হতে কলভাষায় দিলি আনি।
মর্ত্য হতে আবার যেন দিনের শেষে
স্বর্গ-পানে পূর্ণতর যায় ফিরে সে।
আঁধার আকাশে কাঁদে—
ভুলেছে তাহারা
আপনি রবিরে বাঁধে।
চিরযাত্রী ঋতু যথা
বসন্তের আনন্দমন্দিরে
ফাল্গুনে ফাল্গুনে আনে
মাধুরীর অর্ঘ্য ফিরে ফিরে।
৯৮
মূর্ত তোরা বসন্তকাল মানব-লোকে
সদ্য নবীন মাধুরীকে আনলি চোখে।
পুরোনোকে ঝরিয়ে দেওয়ার মন্ত্র সাধা
সরিয়ে দিলি জীবন-পথের জীর্ণ বাধা।
ফুল ফোটানোর আনন্দগান এলি শিখে—
কোথা থেকে ডাক দিয়েছিস মৌমাছিকে।
চঞ্চল ওই প্রাণের ঘায়ে তরুণ তোরা
উচ্ছলিয়া দিলি ধরার পাগলা-ঝোরা
তাই আজি এই নব বরষ স্নেহভরে
নবীন আশার বাহন তোদের আশিস্ করে।
মানব-গৃহে তোরা প্রাণের প্রথম বাণী
স্বর্গ হতে কলভাষায় দিলি আনি।
মর্ত্য হতে আবার যেন দিনের শেষে
স্বর্গ-পানে পূর্ণতর যায় ফিরে সে।
৯৯
মেঘগুলি মোর
আঁধার আকাশে কাঁদে—
ভুলেছে তাহারা
আপনি রবিরে বাঁধে।