সাঁওতালী সব মেয়েরা
ঘোষের বাগান থেকে পাড়ে
কাঁচা কাঁচা পেয়ারা।
মাথায় চাদর বেঁধে নিয়ে
হাট থেকে যায় হাটুরে;
ভিজে কাঠের আঁঠি বেঁধে
চলছে-ছুটে কাঠুরে।
নিমের ডালে পাখির ছানা
পাড়তে গেল ওরা কি—
পকেট ভরে নিয়ে গেল
কাঠবিড়ালির খোরাকি।
হালদারদের মেয়েটা ওই—
দেখি তারে যখুনি
মাঠে মাঠে ভিজে বেড়ায়,
মা এসে দেয় বকুনি।
গোলাকৃতি গড়নাটা ওর,
সবাই ডাকে বাতাবি;
খুদু বলে, আমার সঙ্গে
সাঙাৎনি- কি পাতাবি।
পুকুরপাড়ে ছড়িয়ে আছে
তেলের শিশির কাঁচভাঙা,
জেলের পোঁতা বাঁশের খোঁটায়
বসে আছে মাছরাঙা।
দক্ষিণে ওই উঠল হাওয়া,
বৃষ্টি এখন থামল কি।
গাছের তলায় পা ছড়িয়ে
চিবোয় ভুলু আমলকী।
ময়লা কাপড় হিস্হিসিয়ে
আছাড় মারে ধোবাতে;
পাড়ার মেয়ে মাছ ধরতে
আঁচল মেলে ডোবাতে।
পা ডুবিয়ে ঘাটের ধারে