শ্যামল প্রাণের উৎস হতে
অবারিত পুণ্যস্রোতে
ধৌত হয় এ বিশ্বধরণী
দিবসরজনী।
হে নগরী, আপনারে বঞ্চিত করেছ সেই স্নানে,
রচিয়াছ আবরণ কঠিন পাষাণে।
আছ নিত্য মলিন অশুচি,
তোমার ললাট হতে গেছে ঘুচি
প্রকৃতির স্বহস্তে লিখা
আশীর্বাদটিকা।
উষা দিব্যদীপ্তিহারা
তোমার দিগন্তে এসে। রজনীর তারা
তোমার আকাশদুষ্ট জাতিচ্যুত, নষ্ট মন্ত্র তার,
বিক্ষুব্ধ নিদ্রার
আলোড়নে ধ্যান তার অস্বচ্ছ আবিল,
হারালো সে মিল
পূজাগন্ধী নন্দনের পারিজাত - সাথে
শান্তিহীন রাতে।
হেথা সুন্দরের কোলে
স্বর্গের বীণার সুর ভ্রষ্ট হল বলে
উদ্ধত হয়েছে ঊর্ধ্বে বীভৎসের কোলাহল,
কৃত্রিমের কারাগারে বন্দীদল
গর্বভরে
শৃঙ্খলের পূজা করে।
দ্বেষ ঈর্ষা কুৎসার কলুষে
আলোহীন অন্তরের গুহাতলে হেথা রাগে পুষে
ইতরের অহংকার—
গোপন দংশন তার ;
অশ্লীল তাহার ক্লিন্ন ভাষা