Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://xn--u5bxfcqewdax4kraj7ob.xn--45brj9c)
বাল্মীকিপ্রতিভা - চতুর্থ দৃশ্য, ১১
বাল্মীকিপ্রতিভা
ধরি ধনু আনি বাণ,গাহিব ব্যাধের গান,
দলবল লয়ে মাতিব।
কেন প্রাণ কেন কাঁদে রে!
শৃঙ্গধ্বনিপূর্বক দস্যুগণকে আহ্বান
দস্যুগণের প্রবেশ
দস্যু। কেন রাজা? ডাকিস কেন,এসেছি সবে।
বুঝি আবার শ্যামা মায়ের পুজো হবে।
বাল্মীকি। শিকারে হবে যেতে,আয় রে সাথে।
প্রথম দস্যু। ওরে,রাজা কী বলছে শোন্।
সকলে। শিকারে চল তবে।
সবারে আন্ ডেকে যত দলবল সবে।
বুঝি আবার শ্যামা মায়ের পুজো হবে।
বাল্মীকি। শিকারে হবে যেতে,আয় রে সাথে।
প্রথম দস্যু। ওরে,রাজা কী বলছে শোন্।
সকলে। শিকারে চল তবে।
সবারে আন্ ডেকে যত দলবল সবে।
[ বাল্মীকির প্রস্থান
এই বেলা সবে মিলে চলো হো,চলো হো
ছুটে আয়,শিকারে কে রে যাবি আয়!
এমন রজনী বহে যায় যে!
ধনুর্বাণ লয়ে হাতে,আয় আয় আয় আয়।
বাজা শিঙ্গা ঘন ঘন—শব্দে কাঁপিবে বন—
আকাশ ফেটে যাবে,চমকিবে পশু পাখি সবে,
ছুটে যাবে কাননে কাননে! চারি দিকে ঘিরে
যাব পিছে পিছে, হো হো হো হো!
ছুটে আয়,শিকারে কে রে যাবি আয়!
এমন রজনী বহে যায় যে!
ধনুর্বাণ লয়ে হাতে,আয় আয় আয় আয়।
বাজা শিঙ্গা ঘন ঘন—শব্দে কাঁপিবে বন—
আকাশ ফেটে যাবে,চমকিবে পশু পাখি সবে,
ছুটে যাবে কাননে কাননে! চারি দিকে ঘিরে
যাব পিছে পিছে, হো হো হো হো!
বাল্মীকির প্রবেশ
বাল্মীকি। গহনে গহনে যা রে তোরা,নিশি বহে যায় যে।
তন্ন তন্ন করি অরণ্য,করী বরাহ খোঁজ গে,
এই বেলা যা রে।
নিশাচর পশু সবে,এখনি বাহির হবে—
ধনুর্বাণ নে রে হাতে, চল্ ত্বরা চল্।
জ্বালায়ে মশাল-আলো,এই বেলা আয় রে।
এই বেলা যা রে।
নিশাচর পশু সবে,এখনি বাহির হবে—
ধনুর্বাণ নে রে হাতে, চল্ ত্বরা চল্।
জ্বালায়ে মশাল-আলো,এই বেলা আয় রে।
[ প্রস্থান