তখন হয়তো জিত হয়েছে শুরু
ভিতর থেকে।
সেই বেতার - বার্তার কান খোলে নি তখনো,
যদিও প্রমাণ হচ্ছিল জড়ো।
ইতিমধ্যে আমাদের জীবননাট্যে
সাজ হয়েছে বদল।
ও পরেছে শাড়ি,
আঁচলে বিঁধিয়েছে ব্রোচ,
বেণী জড়িয়েছে হাল ফেশানের খোঁপায়।
আমি ধরেছি খাকি রঙের খাটো প্যান্ট্
আর খেলোয়াড়ের জামা
ফুটবল - বলরামের নকলে।
ভিতরের দিকে ভাবের হাওয়ারও
বদল হল শুরু,
কিছু তার পাওয়া যায় পরিচয়।
একদিন কনির বাবা পড়ছেন বসে
ইংরেজি সাপ্তাহিক।
বড়ো লোভ আমার ওই ছবির কাগজটার ‘পরে।
আমি লুকিয়ে পিছনে দাঁড়িয়ে দেখছি
উড়ো জাহাজের নক্শা।
জানতে পেরে তিনি উঠলেন হেসে।
তিনি ভাবতেন, ছেলেটার বিদ্যার দম্ভ বেশি।
সেটা তাঁরও ছিল ব'লেই
আর কারও পারতেন না সইতে।
কাগজখানা তুলে ধরে বললেন,
“ বুঝিয়ে দাও তো বাপু, এই ক'টা লাইন,
দেখি তোমার ইংরেজি বিদ্যে। ”
নিষ্ঠুর অক্ষরগুলোর দিকে তাকিয়ে
মুখ লাল করে উঠতে হল ঘেমে।
ঘরের এক কোণে বসে