বোঝা গেল না, ঠাট্টা কি সত্যি।
জামার আস্তিনে ছিল মুক্তোর বোতাম,
লুকিয়ে আস্তিনটা দিলেম উলটিয়ে।
অমিয়ার জন্যে একটা ব্রোচ ছিল পকেটে,
বুঝলেম দিতে গেলে
হীরেটাতে লাগবে প্রহসনের হাসি।
একটু কেসে শুধালেম,
“ এখানে থাকো কোথায়। ”
ঝারি রেখে দিয়ে বললে, “ দেখবে?”
নিয়ে গেল স্কুলের মধ্যে
দালানের পুব দিকটাতে
শতরঞ্জের পর্দা দিয়ে ভাগ করা ঘরে।
একটা তক্তপোশের উপর
বিছানা রয়েছে গোটানো।
টুলের উপর সেলাইয়ের কল,
ছিটের খাপে ঢাকা সেতার
দেয়ালে - ঠেসান - দেওয়া।
দক্ষিণের দরজার সামনে মাদুর পাতা,
তার উপরে ছড়িয়ে আছে
ছাঁটা কাপড়, নানা রঙের ফিতে,
রেশমের মোড়ক।
উত্তর কোণের দেয়ালে
ছোটো টিপায়ে হাত - আয়না,
চিরুনি, তেলের শিশি,
বেতের ঝুড়িতে টুকিটাকি।
দক্ষিণ কোণের দেয়ালের গায়ে
ছোটো টেবিলে লেখবার সামগ্রী
আর রঙ - করা মাটির ভাঁড়ে
একটি স্থলপদ্ম।
অমিয়া বললে, “ এই আমার বাসা—
একটু বোসো, আসছি আমি। ”