অনেকে এসেছে আমার কাছে জিজ্ঞাসা নিয়ে ;
আমি বলেছি, “ আমি কী জানি। ”
বলেছি, “ শাস্ত্রে বলে, দেবা ন জানন্তি। ”
পাঠকবন্ধু বলেছে,
“ নারীর প্রসঙ্গে নাহয় চুপ করলেম
হতবুদ্ধি দেবতারই মতো,
কিন্তু পুরুষ?
তারও কি অজ্ঞাতবাস চিররহস্যে।
ও মানুষটা হঠাৎ পোষ মানলে কোন্ মন্ত্রে। ”
আমি বলেছি,
“ মেয়েই হোক আর পুরুষই হোক ; স্পষ্ট নয় কোনো পক্ষই ;
যেটুকু সুখ দেয় বা দুঃখ দেয় স্পষ্ট কেবল সেইটুকুই।
প্রশ্ন কোরো না,
পড়ে দেখো কী বলছে কুশল। ”
কুশল বলে, “ নবনী চার বছর ছিল দৃষ্টির বাইরে,
যেন নেমে গেল সৃষ্টির বাইরেতেই ;
ওর মাধুর্যটুকুই রইল মনে,
আর সব - কিছু হল গৌণ।
সহজ হয়েছে ওকে সুন্দর ছাঁদে চিঠি লিখতে।
অভাব হয়েছে, করেছি দাবি —
ওর ভালোবাসার উপর অবাধ ভরসা
মনকে করেছে রসসিক্ত, করেছে গর্বিত।
প্রত্যেক চিঠিতে আপন ভাষায় ভুলিয়েছি আপনারই মন।
লেখার উত্তাপে ঢালাই করা অলংকার
ওর স্মৃতির মূর্তিটিকে সাজিয়ে তুলেছে দেবীর মতো।
ও হয়েছে নূতন রচনা।
এই জন্যেই খ্রীস্টান শাস্ত্রে বলে,
সৃষ্টির আদিতে ছিল বাণী। ”
পাঠকবন্ধু আবার জিগেস করেছে,