কিছু বদল করিয়া চলতি ভাষায় লেখো। নমুনা –
রাত্রে এডেন বন্দরে জাহাজ থামল। সমুদ্রে ঢেউ নেই, ডাঙার পাহাড়গুলির উপরে জ্যোৎস্না পড়েছে। আলস্যে জড়ানো চোখে সমস্ত যেন স্বপ্নের মতো ঠেকছে। রাত্রেই জাহাজ ছেড়ে দিল।
সমুদ্রতীরের পাহাড়গুলির ‘পরে রৌদ্রের তাপে বাষ্পের ছোঁওয়া লেগেছে, জলস্থল যেন তন্দ্রার আবেশে ঝাপসা।
দূরে দূরে এক একটা জাহাজ চোখে পড়ে, মাঝে মাঝে দেখা যায় পাহাড়, জলের থেকে উঠে পড়েছে, এবড়ো-খেবড়ো, কালো,রোদে পোড়া, জনমানবহীন। যেন সমুদ্রের চৌকিদার, আনমনা রয়েছে তাকিয়ে, কে আসে কে যায় খেয়াল রাখে না।
বিলাসের ফাঁস
১। জীবনযাত্রায় আড়ম্বরের একটা উদ্দেশ্য বাহবা পাওয়া। সাবেক কালে যাহা লইয়া বাহবা পাওয়া যাইত এখন তাহার কী পরিবর্তন ঘটিয়াছে। প্রথম প্যারাগ্রাফ হইতে চতুর্থ প্যারাগ্রাফ পর্যন্ত অবলম্বন করিয়া লেখো।
২। ইহার ফলাফল কী এবং ইহার পক্ষে বিপক্ষে যে তর্ক উঠিতে পারে তাহার মীমাংসা করো। (৫ হইতে ১১ প্যারাগ্রাফ)
৩। বিবাহে পণ-গ্রহণ সম্বন্ধে বক্তব্য কী। (১২ প্যারাগ্রাফ)
৪। বর্তমানকালে দেশে বিলাসিতার ফল কী ঘটিতেছে। (১৩ প্যারাগ্রাফ)
সম্পত্তি-সমর্পণ
এই গল্পটি সম্বন্ধে নিজের মত ব্যক্ত করিয়া সমালোচনা করো। যজ্ঞনাথের স্বভাবের যে-বিশেষত্ব সমস্ত ঘটনার মূল কারণ, তাহা আলোচনার বিষয়।
খাদ্য চাই
এ দেশের জনসাধারণের মধ্যে খাদ্যাভাব লইয়া যে সমস্যা উঠিয়াছে এই প্রবন্ধ অবলম্বন করিয়া তাহার আলোচনা করো।
প্রার্থনা
বিচার করিয়া দেখিলে দেখা যাইবে এই কবিতায় যে সকল প্রার্থনার বিষয় ব্যক্ত হইয়াছে আমাদের দেশে তাহার প্রত্যেকটিরই অভাব আছে। সেগুলিকে স্পষ্ট করিয়া বলো।
শ্রেষ্ঠ ভিক্ষা
এই কবিতাটির তাৎপর্য কী।
প্রতিনিধি
এ কবিতায় শিবাজীর প্রতি তাঁহার গুরু রামদাসের উপদেশের মর্ম ব্যাখ্যা করো।
তপস্যা
এই কবিতায় যে পয়ার ছন্দ আছে তাহার বিশেষত্ব কী। সূর্যকে তপস্বীরূপে বর্ণনা করা হইয়াছে, গদ্যে তাহা বিশ্লেষণ করো।
শরৎ
এই কবিতায় বঙ্গজননীর যে শারদীয়া মূর্তি রচিত হইয়াছে গদ্য ভাষায় তাহার বর্ণনা রূপান্তরিত করো। নমুনা –
হে মাতঃ বঙ্গ, আজ শরৎ-প্রভাতে অমল শোভায় সমুজ্জ্বল কী মধুর মূর্তি তোমার দেখিলাম। ভরা নদী তাহার জলধারা আর বহিতে পারে না, মাঠেও ধান আর ধরে না, তোমার বনসভার দোয়েল কোয়েলের গানে আর বিরাম নাই—হে জননী, শরৎ-প্রভাতে তুমি দাঁড়াইয়া আছ তাহাদের সকলের মাঝখানে। হে জননী, তোমার শুভ আহ্বান নিখিল ভুবনে পরিব্যাপ্ত। তোমার ঘরে ঘরে আজ নূতন ধান্যের নবান্ন। তোমার শস্যের ভার যতই ভরিয়া উঠিবে ততই তোমার আর অবসর থাকিবে না। গ্রামের পথে পথে কাটা